Wellcome to National Portal
  • btv 2-2
  • btv 3-2
  • 2024-12-31-08-41-daa79703d180d2d6e0a493b1a18e21fb
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ মার্চ ২০১৯

রাষ্ট্রপতির কাছে ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও তিন রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ


প্রকাশন তারিখ : 2019-03-12

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে আজ বিকালে বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এবং কঙ্গো, বেলজিয়াম ও গুয়েতমালার অনিবাসি রাষ্ট্রদূতবৃন্দ আলাদাভাবে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
পরিচয়পত্র পেশকারিরা হলেন- ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন এবং কঙ্গোর অনিবাসি রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে পোহ, বেলজিয়ামের অনিবাসি রাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্কোইস ডেলহায়ে ও গুয়েতমালার অনিবাসি রাষ্ট্রদূত জিওভানি রেনে ক্যাস্টিলো পোলাঙ্কো।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বাসস’কে জানান, রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ বাণিজ্য, শিল্প ও বিনিয়োগ খাতে সম্পর্ক সম্প্রসারণকে প্রাধান্য দেয়।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশে তাদের (হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতবৃন্দ) দায়িত্ব পালনকালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে।
বাংলাদেশকে ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি রাষ্ট্র হিসাবে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ নিজ নিজ দেশের স্বার্থে বাংলাদেশ ও তাদের সংশ্লিষ্ট দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যে সম্ভাব্য সকল উপায় অবলম্বনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাথে বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনৈতিক ও পক্ষ সমর্থনের জন্য ব্রিটিশ সরকার ও জনগণের প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লন্ডন সফর ও তৎকালিন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের স্মৃতিচারণ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ব্রিটেনের সাথে বিদ্যমান সম্পর্ক চমৎকার। বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দিন দিন বাড়ছে।’ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুবিধা পাওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আবদুল হামিদ এদেশের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্য ব্রিটিশ সরকারের উদ্যোগ কামনা করেন।

রাষ্ট্রপতি দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে চমৎকার বলে উল্লেখ করেন এবং আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূতগণ বাংলাদেশে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিশেষত আর্থ-সামাজিক খাতে, বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে তারা তাদের নিজ নিজ দেশের পক্ষে বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিববৃন্দ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বঙ্গভবনে এসে পৌঁছালে আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসাবে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহিদল রাষ্ট্রদূতদের ‘গার্ড-অব-অনার’ প্রদান করে।